মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বেগম জিয়া কারাগারে বন্দি থেকেছেন। পাক সেনারা তাকে তার সন্তান সহ কারাগারে বন্দি রেখেছিল। তাই তিনি শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন বরং বাংলার প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়া মুক্তিযোদ্ধা, এ কথা শুনলে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা, চামচাসহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর গায়ে ফোঁসকা পড়ে। বেগম জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি ৯ বছর ধরে দেশের গ্রামে-গঞ্জে থেকে শুরু করে সারা দেশেই আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিলেন। আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা অবৈধ, অত্যাচারী এবং ভোটচোর এ সরকারের পতনের দিন ধার্য্য করবো।
বৃহত্তর আন্দেলনের ডাক দিয়ে আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বেগম জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানের হাত ধরেই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের ও জনগণের জন্য গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন সংগ্রাম করেছেন। মিথ্যা মামলায় আটক হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই। তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। ‘সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয় সরকারকে এর দায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে ভোট চুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন আর সহিংস পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন পড়ে না। প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফলাফল পাল্টে ফেলা যাচ্ছে অনায়াশেই। ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সহ জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।